শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌপথে লঞ্চ চলাচলের কথা।
কিন্তু রোববার (৩১ মে) প্রথম দিনেই পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে লঞ্চে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত না করায় একটি লঞ্চকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করায় পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে থাকা লঞ্চগুলো ঢাকামুখী যাত্রা বন্ধ করে দেয়।
এতে করে শত শত যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ চালু হয়েছে নৌযান। তবে করোনার কারণে সরকারের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে লঞ্চ চলাচল করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালী থেকে তিনটি দ্বিতল লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য লঞ্চঘাটে নোঙর করেছিল। বিকেলের মধ্যে ডেকে যাত্রী ভরে যায়। ছিল না কোনো শারীরিক দূরত্ব।
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিকেলেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু হয়।
লঞ্চে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে না পারায় সুন্দরবন-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনাদায়ে দুই মাসের কারাদন্ড দেশ দেওয়া হয়।
জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় সুপারভাইজার আনোয়ারকে থানায় নিয়ে গেলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের তিনটি লঞ্চই ঢাকা ছেড়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে।
ফলে যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পটুয়াখালী ঘাটে অবস্থান করছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সহকর্মীকে আটক করায় তারা লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম বলেন, জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে আনোয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে সুন্দরবন–৮ লঞ্চ।
এ কারণে লঞ্চের সুপারভাইজারকে জরিমানা করা হয়। পটুয়াখালী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে।
লঞ্চগুলো যাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঞ্চগুলো ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় ছিল।
Leave a Reply